পটুয়াখালীতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় আহত ৩
পটুয়াখালীতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় আহত ৩
পটুয়াখালীর দুমকিতে কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি, গোয়ালঘর বিধ্বস্ত ও গাছচাপায় ৩ মাহিন্দ্রা যাত্রী আহত হয়েছেন। এতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন। অর্ধশতাধিক পয়েন্টে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে ও ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ওপর দিয়ে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুমকী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২০মিনিট স্থায়ী প্রবল বেগের দমকা হাওয়া ও ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুমকি-চরগরবদি সড়কের রাজাখালী এলাকায় গাছচাপা পড়লে একটি মাহিন্দ্রার ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের অনেককে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মৃধা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে শ্রীরামপুর গ্রামের দুলাল চৌকিদার, আ. খালেক মৃধা, দুমকি গ্রামের হানিফ মৃধার বসতঘর, জলিশা গ্রামের ফয়সাল ফকিরের গোয়ালঘরসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া রাজাখালী, চরবয়েড়া, জলিশা গ্রাম ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায়ও বেশকিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি, গোয়ালঘর বিধ্বস্ত ও গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খুটি হেলে উপড়ে পড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পুরো উপজেলা বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে দুমকী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় রাস্তার ওপর পড়ে থাকা গাছটি সরিয়ে ফেলা হয় এবং তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Comments
Post a Comment